হাফ বেত, খুব বেশি জো’রে লাগে না

হাটহাজারী মা’রকাযুল কোরআন ইসলামিক একাডেমি মঙ্গলবার (০৯ মা’র্চ) বিকেলে ঘ’টে যাওয়া শি’শু নি’র্যাতনের ঘ’টনায় ওই শিক্ষক মাফ চেয়েছেন বলে দা’বি ক’রেছেন। তবে এ ঘ’টনায় শি’শুটির বাবা-মা মা’মলা না করলে পু’লিশ বাদী হয়ে মা’মলা করবে জা’নিয়েছেন হাটহাজারী থা’নার ভারপ্রাপ্ত ক’র্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম।

মঙ্গলবার রাতে শি’শুটির মা-বাবা আনুষ্ঠানিকভাবে অ’ভিযোগ ক’রতে রাজি না হওয়ায় প্রশা’সন এক পর্যায়ে ওই শিক্ষককে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। তবে বুধবার (১০ মা’র্চ) বিকেল ৩টার দিকে রাঙ্গুনিয়ার সাফরভাটা এলাকা থেকে তাকে আবারো আ’টক করেছে হাটহাজারী থা’নার পু’লিশ।

আ’টকের বিষয়টি নি’শ্চিত করেন ওসি রফিকুল ইসলাম। এবং বাবা-মা বাদী না হলে পু’লিশ বাদী হবে জা’নিয়ে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘মা’মলা দা’য়েরের জন্য শি’শুর মা-বাবাকে রাজি করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যদি তারা রাজি না হন, তাহলে পু’লিশ বাদী হয়ে মা’মলা করবে।

এর আগে হাটাহাজা’রি উপজে’লার নির্বাহী ক’র্মকর্তা রুহুল আমিন গণমাধ্যমকে জা’নান, ভিডিওটি দেখেই শি’শুটিকে এবং অ’ভিযুক্ত শিক্ষককে শনা’ক্ত করা হয়। মঙ্গলবার রাতে ভাইরাল ভিডিওটি দেখে তিনি রাত একটার দিকে পু’লিশ নিয়ে হাটহাজারীর মা’রকাযুল কোরআন ইসলামিক একাডেমী নামে ওই মাদ্রাসাটিতে যান।

সেখান থেকে নি’র্যাতনের শি’কার শি’শু, অ’ভিযুক্ত শিক্ষক এবং মাদ্রাসার পরিচালককে নিয়ে উপজে’লা প্রশা’সন কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। এর পর শি’শুটির মা-বাবাকে ডেকে আনা হয়। কিন্তু তারা ওই শিক্ষকের বি’রুদ্ধে আনুষ্ঠানিক কোন অ’ভিযোগ দিতে চান না, তাকে কোন সাজা দিতে চান না।

রুহুল আমিন বলেন, মা’মলা দায়ের করার জন্য তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধ’রে শি’শুটির মা-বাবাকে বোঝানোর চেষ্টা করে ব্য’র্থ হয়েছি আম’রা। এমনকি আজ সকালেও শি’শুটির বাড়িতে গিয়েছিলাম আমি, তখনো তাদের বলেছি, কিন্তু তারা কিছুতেই মা’মলা করবে না শিক্ষকের বি’রুদ্ধে।

শি’শুটির মা-বাবা মা’মলা ক’রতে রাজি তো হনই নি, বরং নি’র্যাতনের শি’কার শি’শুর মা-বাবা উপজে’লা নির্বাহী ক’র্মকর্তার বরাবরে একটি চিঠি দিয়েছেন রাতেই, যেখানে অ’ভিযুক্ত শিক্ষকের বি’রুদ্ধে কোন ব্যব’স্থা না নিতে আবেদন জা’নানো হয়েছে। ফলে রাত সাড়ে চারটায় ওই শিক্ষকের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে শি’শুটির মা-বাবার জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয় প্রশা’সন।

মা’রকাযুল কোরআন ইসলামিক একাডেমির হিফয শিক্ষক মোহাম্মদ ইয়াহিয়ার স’ঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি গণমাধ্যমকে জা’নান, গত তিন মাস ধ’রে এই আবাসিক মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছেন। তবে বুধবার সকালে মাদ্রাসা ক’র্তৃপক্ষ তাকে ব’রখাস্ত করেছে।

তিনি বলেন, নি’র্যাতনের ঘ’টনায় তিনি শি’শুটির মা-বাবার কাছে তিনি মাফ চেয়েছেন। জ’ন্মদিনে শি’শুটির মা ছেলের জন্য মিষ্টি ও চকলেট নিয়ে এসেছিলেন। এমনকি তাকে (মোহাম্মদ ইয়াহিয়াকে) নাস্তা খাওয়ার জন্য মা দুশো টাকাও দিয়েছিলেন।

এরপর মা যখন চলে যাচ্ছেন, সেসময় শি’শুটি দৌড়ে মাদ্রাসার বাইরে বেরিয়ে রাঙ্গামাটি-হাটহাজারী চৌরাস্তায় চলে যায়। শি’শুটিকে ফিরিয়ে আনতে আনতে তিনি (মোহাম্মদ ইয়াহিয়া) রেগে গিয়েছিলেন বলে জা’নান।

তিনি বলেন, আ’সলে যে রকম দেখা যাচ্ছে, অত জো’রে মা’রতে ছিলাম না, বেতটাও হাফ বেত, এক বিঘতের চেয়ে একটু বড় সাইজ। বেশি জো’রে লাগে না। কিন্তু আমা’র অন্যায় হইছে, ওইভাবে মা’রা উচিত হয় নাই।